১-১২ তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নতুন নিয়োগ দিন।

বাংলাদেশে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতি শিক্ষাক্ষেত্রে মানসম্মত শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং নিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। যদিও এর মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন। গত এক দশকে -১২তম নিবন্ধনের পরীক্ষার্থীরা বিশেষভাবে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। তাদের নিয়োগে বৈষম্য, সমন্বিত জাতীয় মেধা তালিকায় পিছিয়ে পরা, বয়সসীমার সীমাবদ্ধতা, নতুন পরীক্ষার জন্য বারবার আবেদন করতে বাধ্য করা, সনদের স্বল্প মেয়াদ, এবং একের পর এক নীতিগত পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অসঙ্গতি নিয়ে বিশদ আলোচনা প্রয়োজন। 

শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়া ২০০৫ সালে বাংলাদেশে শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষকতার জন্য উপযুক্ত প্রার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং মানসম্পন্ন শিক্ষকের যোগান নিশ্চিত করা। তবে, শুরু থেকেই এই প্রক্রিয়ায় অনেক সমস্যার উদ্ভব হয়। প্রথমত, নিবন্ধন পাস করার পরও বহু প্রার্থী নিয়োগ পায়নি। প্রায় এক দশক ধরে, -১২তম নিবন্ধনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অনেক প্রার্থী নিয়োগবঞ্চিত অবস্থায় রয়েছেন। এর ফলে তাদের মধ্যে চরম হতাশা এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব এবং নিয়োগের দীর্ঘসূত্রিতা এই সমস্যাকে আরও প্রকট করে তুলেছে। নিয়োগের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রার্থীদের বয়সসীমা অতিক্রম করা, নতুন পরীক্ষার জন্য বারবার আবেদন করতে বাধ্য হওয়া এবং সনদের মেয়াদ স্বল্প হওয়া তাদের জীবনে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

-১২ তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তা বোঝা অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA) কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে নেয়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়োগের জন্য অপেক্ষারত হাজার হাজার প্রার্থী বছরের পর বছর ধরে তাদের প্রাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং নিবন্ধন সনদ নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না।

শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে -১১ তম নিবন্ধনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য কোনো জাতীয় মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি। ১২ তম নিবন্ধন থেকে মেধা তালিকা করে নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা আসে। এরপর -১১ তম প্রার্থীদের রিটের কারণে পরবর্তীতে NTRCA একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেয় যে, -১১ তম নিবন্ধনধারীদেরও পরবর্তী পরীক্ষাগুলোর জাতীয় মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে একটি সমন্বিত জাতীয় মেধা তালিকা তৈরি করা হয়, যেখানে বর্তমানে -১২ তম নিবন্ধনধারীদের পাশাপাশি ১৩-১৭ তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও তালিকাভুক্ত হন। এই পদক্ষেপের ফলে -১২ তম নিবন্ধনধারীদের সম্পূর্নভাবে বৈষম্যের শিকার হোন। প্রতি বছর নতুন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এবং নতুন প্রার্থীরা যুক্ত হতে থাকেন, কিন্তু পূর্ববর্তী নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ফলে, তারা নিয়োগের জন্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন এবং হতাশায় ভুগছেন। নিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে তারা নিয়োগ লাভ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

শিক্ষক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। ৩৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য, কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেক প্রার্থীর বয়স এই সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। তারা পুনরায় নতুন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন বা অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, ফলে তারা নিয়োগের প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত বাদ পড়ছেন।

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় সমস্যা হল নতুন পরীক্ষার চাপ। নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যারা ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের নতুন করে আবারও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। একের পর এক নতুন পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে গিয়ে এই প্রার্থীরা আর্থিক মানসিক চাপে পড়ছেন। সরকার কর্তৃক নেওয়া সিদ্ধান্তে তাদের প্রতি এক ধরনের বৈষম্যের আচরণ করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত আবেদনের খরচ, পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের অসুবিধা, এবং নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার মানসিক চাপ প্রার্থীদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, একবার নিবন্ধন পাস করার পর তাদের আরও একাধিকবার পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা অযৌক্তিক এবং অন্যায়।

শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মেয়াদ নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে সনদের মেয়াদ মাত্র তিন বছর, যা একটি বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সীমিত সময়ের মধ্যে নিয়োগ না পেলে সনদটি আর বৈধ থাকে না, এবং প্রার্থীদের পুনরায় নিবন্ধন পরীক্ষা দিতে হয়। এমন অনেক প্রার্থী রয়েছেন যারা নিবন্ধন পাস করার পরও দীর্ঘ সময় নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন, এবং তাদের সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রার্থীদের মধ্যেও অসন্তোষ বেড়েছে। তারা এই মেয়াদ সীমিত থাকার ফলে নিজেদেরকে প্রতারিত বোধ করছেন, কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অপেক্ষার সময় আরও বেড়ে যাচ্ছে।

শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় একের পর এক নীতিগত পরিবর্তন আরেকটি বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার নির্ধারিত নিয়মকানুনের অভাবের কারণে প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। একদিকে সনদের মেয়াদ কমিয়ে আনা হচ্ছে, অন্যদিকে নিয়োগের প্রক্রিয়াও হচ্ছে জটিল এবং দীর্ঘায়িত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং NTRCA কর্তৃক প্রায়ই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়, যা প্রার্থীদের জন্য একটি বড় সমস্যার সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, জেলা, উপজেলা কোটা, এবং শিক্ষক নিয়োগের জন্য পছন্দের মাপকাঠি বদলে ফেলা হয়। নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীদের মনে করছেন যে, তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় সত্ত্বেও তারা নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রার্থীরা অনেকেই আর্থিকভাবে বিপদে পড়েছেন, কারণ একাধিকবার পরীক্ষার জন্য আবেদন করা এবং সংশ্লিষ্ট খরচ বহন করা তাদের জন্য বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে।  তাছাড়া, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে দীর্ঘসূত্রিতা এবং অনিশ্চয়তা রয়েছে তা প্রার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অনেক প্রার্থীই হতাশা, উদ্বেগ, এবং মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন, যা তাদের পেশাগত জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলছে।

সমস্যা সমাধানের উপায়

বাংলাদেশে শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শিক্ষাক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রক্রিয়া নিয়ে বহু বিতর্ক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। -১২ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হাজার হাজার প্রার্থী নিয়োগের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় রয়েছেন। অথচ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা, এবং বারবার নীতিগত পরিবর্তনের ফলে তারা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েই থেকে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে "-১২ তম নিবন্ধনধারীদের অনতিবিলম্বে নিয়োগ দিতে হবে"—এমন দাবি ক্রমেই প্রবল হচ্ছে।

-১২ তম নিবন্ধনধারীদের দ্রুত নিয়োগ: প্রয়োজনীয়তা এবং যৌক্তিকতা

-১২ তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। তারা তাদের শিক্ষা, সময়, এবং আর্থিক সম্পদ বিনিয়োগ করে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাদেরকে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া না হলে তারা আর্থিক, মানসিক, এবং পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নিয়োগের অনিশ্চয়তা তাদের পেশাগত ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

-১২ তম প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কয়েকটি মূল বিষয়ে স্পষ্ট:

নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ন্যায্যতা: -১২ তম নিবন্ধনধারীরা যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া একটি অস্বচ্ছ এবং প্রহসনমূলক পদক্ষেপ।

মানসিক এবং আর্থিক চাপ: নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিলম্বের কারণে প্রার্থীরা মানসিক চাপ এবং হতাশার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া, নতুন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে তাদের এই দুর্ভোগ কমবে।

যোগ্যতা দক্ষতার সঠিক মূল্যায়ন: নিবন্ধন পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে এই প্রার্থীরা তাদের যোগ্যতা দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তাদের নিয়োগের জন্য নতুন পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ তারা ইতোমধ্যে নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেছেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা আনা: দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধিত প্রার্থীদের অপেক্ষায় রাখলে শিক্ষাক্ষেত্রে অস্থিরতা এবং অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ দিয়ে এই অস্থিরতা দূর করা যেতে পারে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

নতুনভাবে পরীক্ষা নেওয়া স্থগিত করার প্রয়োজনীয়তা

-১২ তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে নতুনভাবে পরীক্ষা নেওয়া একটি অযৌক্তিক এবং প্রতারণামূলক পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্ত প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। নতুন পরীক্ষা স্থগিত করার যৌক্তিক কারণগুলো হলো:

বৈষম্য অসন্তোষ: নতুন পরীক্ষা নেওয়া মানে পুরোনো নিবন্ধনধারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা। এটি তাদের প্রতি অন্যায় এবং অগ্রহণযোগ্য, কারণ তারা পূর্বের পরীক্ষা পাস করে রেখেছেন এবং তাদের সেই যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয়নি।

পরীক্ষার অবিচ্ছিন্নতা: শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও প্রার্থীদের নতুন করে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য এবং মানদণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। নতুন পরীক্ষা স্থগিত করা হলে পুরোনো নিবন্ধনধারীদের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

প্রশাসনিক জটিলতা সময় অপচয়: নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার ফলে প্রশাসনিক জটিলতা এবং সময়ের অপচয় বাড়বে। বর্তমান নিবন্ধনধারীদের দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

 "সনদ যার, চাকরি তার" নীতির বাস্তবায়নের গুরুত্ব

"সনদ যার, চাকরি তার" নীতিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব। এই নীতির কিছু মূল উপকারিতা হলো:

যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান: নিবন্ধন সনদ প্রাপ্ত প্রার্থীরা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। তাদেরকে নিয়োগ প্রদান করা মানে তাদের যোগ্যতার যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমতা: "সনদ যার, চাকরি তার" নীতি বাস্তবায়ন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এটি প্রার্থীদের মধ্যে বিশ্বাস আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

মানসিক চাপ হতাশা হ্রাস: দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষারত নিবন্ধনধারীদের মানসিক চাপ হতাশা কমাতে এই নীতি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তারা জানবেন যে, তাদের সনদ তাদের চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন: এই নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষ এবং যোগ্য শিক্ষকরা সহজেই নিয়োগ পেতে পারবেন, যা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

-১২ তমদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নতুন নিয়োগ

-১২ তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা অন্যায় এবং অবিচারের সামিল। পুরোনো নিবন্ধনধারীদের অধিকার নিশ্চিত না করে নতুন প্রার্থীদের যুক্ত করা হবে না। এই অবস্থায় একটি সুনির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট নীতি প্রণয়ন করা উচিত, যা নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে:

পুরোনো নিবন্ধনধারীদের দ্রুত নিয়োগ: প্রথমে -১২ তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, নতুন পরীক্ষার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরোনো নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ দিতে হবে।

নীতি প্রণয়ন বাস্তবায়ন: নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে একটি সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন প্রার্থী নিয়োগের ক্ষেত্রে অবিচারের শিকার না হন।

নিয়োগের মাপকাঠি নির্ধারণ: সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি নির্ধারণ করতে হবে, যার মাধ্যমে সব প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করা হবে এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হবে না।

শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা, এবং দক্ষতার মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে -১২ তম নিবন্ধনধারীদের দ্রুত নিয়োগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা উচিত এবং "সনদ যার, চাকরি তার" নীতির বাস্তবায়ন করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা, সমতা, এবং মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। পুরোনো নিবন্ধনধারীদের দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করা সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ

https://arhossain.blogspot.com/2024/09/blog-post_3.html

https://arhossain.blogspot.com/2024/08/blog-post_28.html

https://arhossain.blogspot.com/2024/08/blog-post_29.html


Post a Comment

Previous Post Next Post