নির্দিষ্টভাবে অর্থনীতিতে বা ব্যবস্থাপনায়, বিভিন্ন প্রকার উপযোগ আমাদের বিভিন্ন পণ্য ও সেবার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা নির্ধারণ করে। নিচে রূপগত, স্থানগত, সময়গত, তথ্যগত, স্বত্বগত এবং সেবাগত উপযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. রূপগত উপযোগ (Form Utility):
রূপগত উপযোগ তখন তৈরি হয় যখন কোনো কাঁচামাল
বা সম্পদকে এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় যাতে তা ভোক্তার জন্য আরো বেশি মূল্যবান ও
কার্যকর হয়। কাঁচা পণ্যকে ব্যবহারযোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা এর উদাহরণ।
উদাহরণ: কাঁচা লোহাকে প্রক্রিয়াজাত করে
অটোমোবাইল তৈরি করা।
২. স্থানগত উপযোগ (Place Utility):
এই উপযোগ তখন তৈরি হয় যখন একটি পণ্য বা
সেবাকে এমন স্থানে সরবরাহ করা হয় যেখানে তার চাহিদা রয়েছে। স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় সঠিক
স্থান নির্ধারণ করা এর মূল লক্ষ্য।
উদাহরণ: গ্রামাঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য শহরে
নিয়ে আসা।
৩. সময়গত উপযোগ (Time Utility):
সময়গত উপযোগ তখন তৈরি হয় যখন কোনো পণ্য
বা সেবা সেই সময় ব্যবহার করা হয় যখন তার চাহিদা বেশি থাকে। এটি এমন সময়ে উপলব্ধ করার
উপর নির্ভর করে যখন ভোক্তার প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক।
উদাহরণ: শীতকালে গরম কাপড় বিক্রি করা।
৪. তথ্যগত উপযোগ (Information
Utility):
তথ্যগত উপযোগ তখন তৈরি হয় যখন ভোক্তা
প্রয়োজনীয় তথ্য বা জ্ঞান লাভ করে যা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। তথ্যের প্রাপ্তি
ও প্রচার এই উপযোগের কেন্দ্রবিন্দু।
উদাহরণ: পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন, ভোক্তার
জন্য নির্দেশিকা প্রদান।
৫. স্বত্বগত উপযোগ (Possession
Utility):
এই উপযোগ তখন তৈরি হয় যখন পণ্যের মালিকানা
একজন থেকে আরেকজনের কাছে হস্তান্তরিত হয়। পণ্য ব্যবহার বা অধিকার লাভের সঙ্গে এর স্বত্বগত
উপযোগ যুক্ত।
উদাহরণ: যখন একজন গ্রাহক একটি নতুন ফোন
কেনেন এবং তার মালিকানা লাভ করেন।
৬. সেবাগত উপযোগ (Service Utility):
এই উপযোগ তখন সৃষ্টি হয় যখন কোনো ব্যক্তি
বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি সেবা লাভ করে। সেবা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে উপযোগ তৈরি হয়।
উদাহরণ: চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা সেবা, ব্যাংকিং
সেবা ইত্যাদি।
এই উপযোগগুলো একত্রে মানব জীবনের বিভিন্ন
দিকের উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় ভূমিকা রাখে।
Post a Comment